রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল বিষয়ে যা বললেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল বিষয়ে যা বললেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করা হয়নি। শুধু সুপারিশ করা হয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত বা সাজাপ্রাপ্ত খুনি তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা যদি পাওয়া যায়, বিষয়টি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘১৯ শে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিষয়টিতে বোঝার ভুল আছে। যেদিন আমরা এ বিষয়ে সভা করি সেদিন কিছু লোকের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হচ্ছে আত্মস্বীকৃত খুনি, আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত এমন ব্যক্তি। সেই পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধুর খুনির সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। অনেকেই অনেক উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি যে খুনি সেটা প্রমাণ করে অনেকেই অনেক তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে কমিটি তদন্ত করছে। তদন্ত করার পর জাতির সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এ পর্যায়ে আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। দুই মাসের মধ্যে তাদের দালিলিক প্রমাণ দাখিল করতে হবে। জিয়া কবে কোথায় কীভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে জড়িত ছিলেন, সেটা খুঁজে বের করবে তারা। এটা বের করার পর আমরা জাতির সামনে পেশ করব। তারপর রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিটিতে আলোচনা হবে।

মন্ত্রী স্পষ্ট করেন, আমি চেষ্টা করেছি মিডিয়ায় বিষয়টা পরিষ্কার করতে। আমরা খেতাব বাতিল করি নাই, বাতিল করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে তদন্ত কমিটি করে তার রিপোর্ট পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।

রাজধানীর স্কাউট ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

এর প্রতিবাদে বিএনপি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানায়। রাজপথে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করে দলটি। ওই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি ও ছাত্রদলের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877